—প্রতীকী চিত্র।
মায়ের বকুনির পর অস্বাভাবিক মৃত্যু! নদিয়ার তেহট্টে দু’টি এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার, একই দিনেই দু’টি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের মধ্যে এক জন যুবক। তাঁর নাম উৎপল বিশ্বাস (২০)। অন্য জন নাবালিকা। নাম মামনি মণ্ডল (১৪)। তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় সূত্রে দাবি, মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে তারা আত্মঘাতী হয়েছে।
তেহট্ট থানার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা উৎপলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে উৎপল খাওয়াদাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমোতে যান। রবিবার সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে তাঁর দাদা উজ্জল দেখতে যান। সেখানে গিয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে উজ্জল দেখতে পান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সিলিং থেকে ঝুলছেন উৎপল। সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানে চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় ওই যুবকের। মায়ের বকুনিতে অভিমানে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গড়ালেও পড়তে না বসায় মেয়ে মামনিকে বকাবকি করেন তার মা। প্রতিবেশীদের দাবি, মায়ের বকা খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে মেয়ে।
এই দুই ঘটনা প্রসঙ্গে তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘দু’টি ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’