অবহেলায় পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। ছবি: সফিউল্লা ইসলাম
একটি নয়, দুটি অ্যাম্বুল্যান্স বছরের পর বছর পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে। এলাকার মানুষের দাবি, কেবলমাত্র প্রশাসনের গাফিলতিতেই অ্যাম্বুল্যান্স দুটি পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। অথচ এলাকা থেকে রোগীরা অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে সাধারণ ছোট গাড়িতে রওনা দিচ্ছেন ডোমকল বা বহরমপুর হাসপাতালে। স্থানীয় মানুষের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স দুটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে সাধারণ মানুষের কাজে লাগালে অনেকেই উপকৃত হবেন। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাম্বুল্যান্স দুটির মালিকানা দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলে অ্যাম্বুল্যান্স চালু করার চেষ্টা চলছে।
সীমান্তের ব্লক রানিনগর। ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বলতে গোধনপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখান থেকে প্রতিদিন একাধিক রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় ডোমকল বা বহরমপুর হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে রোগীর আত্মীয়রা বাইরে থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে রওনা দেন হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতাল চত্বরেই দুটি অ্যাম্বুল্যান্স পড়ে আছে বছর কয়েক ধরে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আর কিছুদিন পড়ে থাকলে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে পড়বে অ্যাম্বুল্যান্স দুটি। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের উচিত এখনই অ্যাম্বুল্যান্স দুটির সংস্কার করে চালু করা। স্থানীয় এক গাড়ি চালক শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘দুটি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি বছর দুয়েক আগেও চলছিল। কিন্তু তার চালক ১০২ এর অ্যাম্বুল্যান্স গাড়িতে চলে যাওয়ার পর থেকেই গাড়িটি বন্ধ আছে। আমরা চাই দুটি গাড়ি চালু করা হোক মানুষের স্বার্থে।’’
ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে আছে, অন্যটি চালকের অভাবে বন্ধ আছে। দুটো সংস্থাকে জানানো হয়েছে এই গাড়ি দুটির স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। ব্লকের বিএমওএইচ কামাল বাসার সরকার বলছেন, ‘‘ইতিমধ্যে ওই গাড়ি দুটি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। যাদের গাড়ি তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। দুটি গাড়িকেই সংস্কার করে যাতে মানুষের কাজে লাগানো যায় সেই চিন্তা ভাবনায় শুরু করেছি আমরা। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যেই দুটি গাড়ি চালু করা যাবে।’’ এখন দেখার আর কত দিনে ওই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পায় সীমান্তের
রানিনগরের বাসিন্দারা।