শিশির অধিকারী। ফাইল চিত্র।
শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে কাঁথির সাংসদকে আবারও তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে শিশিরকে।
মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে সাংসদ বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বেঁচে আছি। প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। তাঁরা অনুমতি দিলেই দিল্লি যেতে পারব, না হলে পারব না।’’
শিশিরের তলব প্রসঙ্গে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘গত দু’টি শুনানি হয়েছিল। সেখানে আমি ছিলাম। কিন্তু উনি ছিলেন না। আশা করব, ১২ তারিখ উনি থাকবেন। দলের তরফে আমি থাকব।’’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন শিশির-পুত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় থেকে কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব রচনা হয়। তৃণমূল বনাম কাঁথির অধিকারী পরিবারের বাগ্যুদ্ধে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল শিশিরকে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করার কোনও ঘোষণা তিনি করেননি। এই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হতে দেখা গিয়েছিল এই বর্ষীয়ান রাজনীতিককে। বিধানসভা ভোটের পর দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সংক্রান্ত শুনানিতে অতীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লি যাননি শিশির। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন সাংসদ। তৃণমূলের নির্দেশ অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিশির ভোটও দিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে সাংসদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে স্পিকারকে গত মাসে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দুর মতোই শিশিরও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সাংসদ পদ ছাড়েননি। তাই গত বিধানসভা ভোটের পরেই শিশিরের পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল বাংলার শাসকদল। কিন্তু শিশির-ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, ২০২১ সালের মার্চে তিনি অমিত শাহের জনসভায় গেলেও অন্য দলের পতাকা ধরেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হয় না।