Renu Khatun

রেণু খাতুনের কব্জি কাটার মামলায় খুনের চেষ্টার ধারা বাতিল! নির্দেশ আদালতের

সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মধুছন্দা বসু ওই ধারার মামলা বাতিল করেন। অপেক্ষাকৃত লঘু ধারাগুলির মামলা এসিজেএম আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০১
Share:

রেণু খাতুন। ফাইল চিত্র।

রেণু খাতুনের কব্জি কাটার মামলায় খুনের চেষ্টার ধারা বাতিল করল আদালত। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মধুছন্দা বসু ওই ধারার মামলা বাতিল করেন। অপেক্ষাকৃত লঘু ধারাগুলির মামলা এসিজেএম আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশও দেন। আইনজীবীরা জানান, আদালত জানিয়েছে, চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে রেণুর হাত কাটার পরে স্বামীই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খুনের চেষ্টা হয়েছিল, এমন তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলেও জানান আইনজীবীরা। নির্দেশের কথা শুনে রেণুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ রকম কেন হল, বুঝতে পারছি না! দরকার হলে ফের আবেদন করব। মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠাব।’’

Advertisement

কেতুগ্রামের বাড়িতে ৪ জুন রাতে তিন সঙ্গীকে নিয়ে ঘুমন্ত রেণুর উপরে তাঁর স্বামী সরিফুল শেখ হামলা চালান বলে অভিযোগ। রেণু অভিযোগ করেন, নার্সিংয়ের সরকারি চাকরি পাওয়ার পরে তিনি স্বামীকে ছেড়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়। মুখে বালিশ চাপাও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ রেণুর স্বামী, তাঁর তিন সঙ্গী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। রেণু এখন বর্ধমানে নার্সিং প্রশিক্ষণ স্কুলে কর্মরত। ঘটনার এক মাসের মধ্যে খুনের চেষ্টা-সহ ছ’টি ধারায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।

অভিযুক্তদের আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুনের পরিকল্পনা থাকলে শরীরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঘাত করার সুযোগ ছিল অভিযুক্তদের।’’ মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস মুখ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কী ভাবে তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে খুনের চেষ্টা ও তার পরে হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়, সে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রেণু। হয়তো পুলিশের পুনর্নির্মাণে কোনও খামতি ছিল।’’ তদন্তকারীদের যদিও দাবি, খুনের চেষ্টার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আদালতের রায় হাতে পেলে, কী কারণে এমন নির্দেশ, তা বোঝা যাবে।’’ রেণুর দাদা রিপন শেখ বলেন, “আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করব। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement