সব বিধায়ককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে চায় বিজেপি। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফল না পেলেও দলের বেশির ভাগ বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সুবিধা পেলেন। এখন মোট ৭৫ জন বিধায়কের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সুবিধা পাচ্ছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে ৬১ জন পেয়েছেন এক্স ক্যাটিগরির নিরাপত্তা। যাতে সব সময় কমপক্ষে ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। এ ছাড়াও ৩ জন বিধায়ক ওয়াই ও ২ জন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন। বিধানসভা ভোটে জিতেও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিকও আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান।
তবে এই ৬৬ জনের সকলেই নতুন করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন এমন নয়। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনের আগে থেকেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ও একই রকম নিরাপত্তা পান আগে থেকেই। এ ছাড়াও দ্বিতীয়বারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা-সহ কয়েকজন রয়েছেন এই তালিকায়। খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও প্রার্থী হওয়ার সময় থেকেই নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাঁর জন্য ওয়াই ক্যাটেগরি এখনও বহাল থাকছে।
বিজেপি-র দাবি, রাজ্যে যে ভাবে নির্বাচন পরবর্তী গোলমাল চলছে তাতে অনেক বিধায়কের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই দলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট শুক্রবারই দুষ্কৃতীতের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার শীতল বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগেই আমি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছি। সেই কারণেই বড় রকমের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি।’’
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ইতিমধ্যেই চিঠি পেয়ে গিয়েছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় নিভৃতবাসে আছেন। অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘চিঠি পেয়েছি। সুস্থ হয়ে আসানসোলে যাব। তখন থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেব। ইতিমধ্যেই জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেছি।’’
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের জন্য বেশির ভাগ বিজেপি বিধায়ক কলকাতায় এসেছিলেন। সে দিনই যাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চান তাঁদের আবেদন করতে বলা হয় দলের পক্ষে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী-সহ ১০ জনের মতো সেই আবেদন জানাননি।