বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চান সোনালি গুহ।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চান সোনালি গুহ। রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক এবং রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। রাতারাতিই মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেন। তবে বিজেপি-ও তাঁকে বিধানসভা ভোটে টিকিট দেয়নি। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি-র। তার পরেই তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া নেতা-কর্মীদের একে একে ‘মোহভঙ্গ’ হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাটের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বিজেপি ছেড়েছেন। অতঃপর সোনালি।
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে টুইট করে সোনালি লেখেন, ‘সম্মানীয় দিদি, আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়ে ছিলাম যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত, কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না’। টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকা সুযোগ করে দিন’। সূত্রে খবর, মমতাকে টুইট করার পাশাপাশি তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগও করতে শুরু করেছেন সোনালি।
গত ৫ মার্চ তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। দেখা যায়, সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সাতগাছিয়ার চারবারের বিধায়ক সোনালি। দিদির দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে বাদ দিয়ে সাতগাছিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী হন বিষ্ণুপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মোহন নস্কর। তারপরেই সংবাদমাধ্যমে চোখের জল ফেলে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। সঙ্গে বিজেপি-র হেস্টিংসেরঅফিসে গিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন।