ঘাটালে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বন্যার জল। নদীর জলের স্তর কমলেও এখনও ঘাটাল মহকুমার বিস্তৃর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যাতায়াতের জন্য এখনও ভরসা নৌকা বা ডিঙি। মঙ্গলবার নৌকায় করেই এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দাসপুর থানার রাজনগর-পশ্চিম এবং রামদেবপুর এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। জলবন্দি এলাকার দৃশ্য মোবাইল-বন্দি করেন মন্ত্রী।
ঘাটালে এসে প্রথমে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে শ্রম দফতরের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রত। ঘাটাল মহকুমায় শ্রম দপ্তরের অধীন উপভোক্তা, যাঁরা দুর্ঘটনা জনিত বা স্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় চেক। ঘাটালের অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার হর্ষবর্ধন দাস বলেন, ‘‘শ্রম দফতরের অধীন যে সব উপভোক্তা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
ওই অনুষ্ঠান মঞ্চেই সুব্রত বলেন, ‘‘প্রায় নিয়ম করেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আপনাদের। সরকার সুখে-দুঃখে থাকতে চায়। মানুষের জন্য যা করা দরকার তাই করছে রাজ্য সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে বলছেন ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’। অর্থাৎ আমাদের সংবাদ না দিয়েই ডিভিসি-র ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তার তীব্রতা বেড়ে গিয়েছে।’’
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, ঘাটাল মহকুমায় বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। নদীর জল নতুন করে গ্রামে বা পুরসভা এলাকায় না ঢুকলেও জমা জল নামতে সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথমে জেলায় ৭৮৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হলেও এখন চলছে ১০২টি সেখানে ৪,৩১৯ জন রয়েছেন। নৌকা নামানো হয়েছে, ৯৪টি. জেলায় মারা গিয়েছেন ২৬ জন। ঘাটাল পুরসভা, ঘাটালের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, ডেবরা, পিংলা, সবং এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও চলছে কয়েকটি ‘কমিউনিটি কিচেন’।