এনসিপি হেফাজতে আরিয়ান। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো’ (এনসিবি)-র পরে এ বার মুম্বই পুলিশ। গোয়াগামী প্রমোদতরীতে শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের মাদক-পার্টি নিয়ে মঙ্গলবার শুরু হল সমান্তরাল তদন্ত। প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে, ওই প্রমোদতরীতে পার্টির আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।
মুম্বই পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই প্রমোদতরী ঠিক কোন কারণে মুম্বই থেকে গোয়া যাত্রা করেছিল তা জানতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে এখন বিপর্যয় মোকাবিলা আইন বলবৎ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রমোদতরীর যাত্রা এবং অনুমতি ছাড়া পার্টির আয়োজন করে সেই আইনের ১৮৮ নম্বর ধারা ভাঙার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়েও তদন্ত হবে।’’
ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, রাজধানী মুম্বই-সহ গোটা রাজ্যে যে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টির আয়োজনের জন্য পুলিশি অনুমতি বাধ্যতামূলক। কারণ, রাজ্যে এখনও ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সাধারণ ভাবে ৫ বা তার বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে প্রমোদতরণীতে পার্টির আয়োজন হল তা তদন্ত করে দেখবেন তাঁরা।
শনিবার রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে চলা মাদক পার্টি থেকে আরিয়ানকে আটক করে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনসিবি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দীর্ঘ জেরার পর মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন আরিয়ান। এর পরেই মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল আরিয়ানকে। কিন্তু তাঁর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতেই থাকতে হবে শাহরুখ-তনয়কে।