প্রতীকী চিত্র।
আসন সমঝোতা হয়নি। তার আগেই তমলুকে চালু হল বাম-কংগ্রেস জোট কার্যালয়।
আসন্ন পুরসভা ভোটে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধে লড়াই করছে। এ জন্য প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আসন সমঝোতা করতে আলোচনা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু সেই জোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তমলুকের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চালু হয়েছে তাদের যুগ্ম নির্বাচনী কার্যালয়। এ নিয়ে শহরের রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে লালদিঘি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই কার্যালয় চালু করা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে একটি ফ্লেক্স দেওয়া হয়েছে। যার একপ্রান্তে রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের ছবি এবং দলীয় লোগো রয়েছে, অন্য প্রান্তে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধি, রাহুল গাঁধি এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের ছবি এবং প্রতীক রয়েছে।
২০ ওয়ার্ড বিশিষ্ট তমলুক পুরসভায় আসন সমঝোতার জন্য কংগ্রেস এবং সিপিএমের শহর নেতৃত্বের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষই আসন সমঝোতা করার জন্য স্থানীয় ও জেলাস্তরে আলোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে তাঁর আগেই চালু হল এই কার্যালয়।
‘তাম্রলিপ্ত শহর বাম-কংগ্রেস জোট কমিটি’র নামে ওই নির্বাচনী কার্যালয় খোলার কথা স্বীকার করে তমলুক শহর কংগ্রেস সভাপতি শেখ জিয়াদ বলেন, ‘‘পুরসভা ভোটে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট হচ্ছে। এখনও আসন সমঝোতা চুড়ান্ত হয়নি। কিন্তু জোট বেঁধে লড়াই করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার কারণেই ওই কার্যালয় চালু করা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই যৌথভাবে কার্যালয়টি চালু করেছি।’’
যদিও এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘দুপক্ষে মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। তবে যৌথ নির্বাচনী কার্যালয় চালু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় স্তরে আলোচনা করে কার্যালয়টি খোলা হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’