নিজস্ব চিত্র
পুজোয় জামাকাপড়ের পিছনে অর্থ খরচ করেননি তাঁরা। পরিবর্তে ওই অর্থ দিয়ে আদিবাসী পাড়ার ছেলেমেয়েদের জন্য পাঠশালা গড়লেন সবংয়ের দুই শিক্ষক ভাস্করব্রত পতি ও শান্তনু অধিকারী। শুধু পাঠশালা তৈরিই নয়, তাতে ভর্তি হওয়া খুদে পড়ুয়াদের হাতে বর্ণপরিচয়, ব্যাগ, পেন, খাতা তুলে দিলেন তাঁরা। পাঠশালার নামও রাখা হয়েছে ‘বর্ণপরিচয়’।
বুধবার দুর্গা প্রতিমার সামনে জলসিঞ্চন করে শপথবাক্য পাঠের মাধ্যমে ২৮ জন পড়ুয়াকে নিয়ে এই পাঠশালা শুরু করলেন সবং ব্লকের চাঁদকুড়ির শান্তনু এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হাউরের বাসিন্দা ভাস্করব্রত। পাঠশালায় নিয়মিত পড়ানোর জন্য একটি শিক্ষিকাকেও নিয়োগ করেছেন তাঁরা।
ভাস্করব্রত বলেন, ‘‘শিক্ষাই পারে এখানকার বাসিন্দাদের প্রকৃত উন্নয়নের পথ দেখাবে। নিজেদের অধিকারবোধ সম্পর্কে সচেতন করবে। এই পাঠশালা আপাতত সপ্তাহে চার দিন চলবে। খেলাচ্ছলে পড়াশোনায় আমরা জোর দেব। খুদেদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণের কথাও ভাবছি আমরা।’’ শান্তনুর কথায়, ‘‘এটা কেবল পাঠশালা নয়। এই পাঠশালার পড়ুয়ারা যাতে নানা ধরনের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়, সেটাও চেষ্টা করব আমরা।’’
পাঠশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল খোলাগেড়্যা বুথ সভাপতি নিখিল কুইল্যা বলেন, ‘‘গ্রামের পাশেই একটা স্কুল রয়েছে। সেখানেই যেত এখানকার ছেলেমেয়েরা। কিন্তু করোনার জন্য ওই স্কুল এখন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ওদের লেখাপড়ার জন্য এই দু’জন শিক্ষক এগিয়ে এসেছেন খুব ভাল লাগল।’’