লখিমপুর নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়াল কংগ্রেস-তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
লখিমপুর নিয়ে টানাপড়েন শুরু হল কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। সোমবার না ঢুকতে পারলেও, মঙ্গলবারের চেষ্টায় নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল। এর পরেই কংগ্রেস শিবির প্রশ্ন তোলে, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ লখিমপুরে প্রবেশের অনুমতি দিলেও প্রথমে কেন কংগ্রেস মহাসচিব প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না? প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেন, “বিজেপি সরকার শুধু কংগ্রেসকে লখিমপুর যেতে বাধা দিচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলকে আটকানো হচ্ছে না। তৃণমূল বা ভীম সেনার মতো দলকে যেতে দেওয়া হল।” পরে অবশ্য রাহুল-প্রিয়ঙ্কা দু’জনকেই লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেয় যোগী সরকারের পুলিশ। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি কংগ্রেস-তৃণমূলের দ্বৈরথ।
রাহুলের মন্তব্যের পরেই বুধবার পাল্টা টুইট করে জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘রাহুলের মতো পার্ট-টাইম রাজনীতিবিদদের কাছে আমরা কোনও জ্ঞান শুনব না। কারণ, কংগ্রেস যেখানে নিজেদের গড়ে বিজেপিকে হারাতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল বাংলায় বিজেপিকে হারাচ্ছে।' এমন আক্রমণের পর জবাব দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূল সাংসদরা নাকি ওদের চোখে ধুলো দিয়ে গিয়েছেন। এটা ঠিক নয়। কোনও একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁরা এই সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। সরকার সেই সুযোগ তাঁদের করে দিয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী জোট ভেঙে গেলেও লখিমপুর নিয়ে সিপিএম কংগ্রেসের পাশেই দাঁড়িয়েছে। সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার কথায়, বিজেপি-তৃণমূলের যোগ লখিমপুর ঘটনা থেকেই আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
দলীয় মুখপত্রের শারদ সংখ্যার উদ্বোধনে মমতা বলেন, ‘‘তৃণমূলই একমাত্র দল, যার প্রতিনিধিরা লখিমপুরে গিয়ে পৌঁছতে পেরেছেন। দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং আবির বিশ্বাস লখিমপুরে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা ঘুরপথে সেখানে পৌঁছেছেন।দোলা সেন তো পঞ্জাবি সেজে লখিমপুরে ঢুকেছেন।’’ সঙ্গে বিজেপি-বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃতীয় বিকল্প নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্পর্কের টানাপড়েন আরও বাড়তে পারে।