ট্রলার। নিজস্ব চিত্র।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই ইলিশের খোঁজে দিঘা থেকে দফায় দফায় গভীর সমুদ্রে পাড়ি জমাচ্ছে ট্রলার। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার খানেক ট্রলার নেমে পড়েছে সমুদ্রে। ধাপে ধাপে আরও ট্রলার সমুদ্রে নামানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে এ বছর প্রচুর ইলিশ আমদানির আশায় বুক বাঁধছেন মৎস্যজীবীরা।
‘মেঘলা আকাশ, ঝিরঝিরে বৃষ্টি সঙ্গে পুবালি হাওয়া’- এই আবহাওয়াই ইলিশ ধরার মোক্ষম পরিস্থিতি। গত কয়েকদিনে বাংলার উপকূলে নিম্নচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ মৎস্যজীবিদের উৎসাহ দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম দফায় যাওয়া ট্রলারগুলি আগামী দুই তিন দিন বাদেই ফিরতে শুরু করবে। তারপরেই বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়বে। এই মুহূর্তে দিঘা ও সংলগ্ন এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়েছে প্রায় ১৭০০ থেকে ১৮০০ ট্রলার। প্রথম দফায় ৮০০ থেকে এক হাজার ট্রলার সমুদ্রে নেমেছিল। আগামী দিনে আরও ট্রলার নামবে।’’
অন্য দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী মঞ্চের সভাপতি দেবাশিষ শ্যামল বলেন, ‘‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চরম সঙ্কটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে ভর্তুকির আবেদন করা হয়েছে।’’
বটম ট্রলিং নিয়ে সরকারের কাছে নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে দেবাশিষ বলেন, ‘‘মাটি আঁকড়ে জাল টানায় সমুদ্রে মাছের আমদানি ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। বটম ট্রলারের জন্য টন টন চারা ইলিশ মরে যায়। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ছোট মৎস্যজীবীরা জাল পেতে মাছ ধরেন। ওতে চারা মাছ মরে না।’’