প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
বাবা ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার সামলেছেন দক্ষ হাতে। তার পর হঠাৎই রাজনীতিতে প্রবেশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পর টানা ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেই মনমোহন সিংহের তিন কন্যা কিন্তু কেউই রাজনীতির আঙিনায় পা দেননি। বাবার মতোই মেধাবী, তবে রাজনীতি থেকে বরাবরই দূরে থেকেছেন উপিন্দর সিংহ, দমন সিংহ এবং অমৃত সিংহ। মনমোহনের তিন কন্যা।
১৯৫৮ সালে গুরশরণ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন মনমোহন। তাঁদের তিন সন্তান রাজনীতির বাইরে বেছে নিয়েছেন নিজেদের জীবন। জ্যেষ্ঠ কন্যা উপিন্দর ইতিহাসের অধ্যাপক। দ্বিতীয় কন্যা অমৃত বেছে নিয়েছেন আইনের পথ। আর ছোট কন্যা দমন পেশায় লেখক।
উপিন্দর বর্তমানে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ডিন। লেখক বিজয় টাংখাকে তিনি বিয়ে করেছেন। তিনি নিজেও লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি বই জনপ্রিয়। ২০০৯ সালে সমাজবিজ্ঞানে ‘ইনফোসিস’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। কেমব্রিজ, হার্ভার্ডের থেকে ফেলোশিপও পেয়েছেন উপিন্দর।
মনমোহনের দ্বিতীয় কন্যা অমৃত মানবাধিকার আইনজীবী। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক তিনি। বিশ্ব জুড়ে মানবাধিকার বিষয়ে অনেক কাজ করেছেন অমৃত। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ইয়েল ল স্কুল থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা।
মনমোহনের ছোট কন্যা দমন পেশাদার লেখক। তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে তাঁর বাবা এবং মায়ের জীবনী। এ ছাড়াও অন্যান্য বিখ্যাত বইয়ের লেখক তিনি। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে গণিতে অধ্যয়ন করেন অমৃত। ১৯৮৪ সালে স্নাতক হন। অশোক পট্টনায়েক নামে এক আইপিএস অফিসারকে বিয়ে করেন অমৃত।