প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার হল অ্যাম্বুল্যান্স থেকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
স্ট্রেচারে শুয়েছিলেন এক জন রোগী। তাঁকে নিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। হুটার বাজিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার আবেদন ছিল চালকের। সেই অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়েই ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল পাঁচ জনকে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে থামায় পুলিশ। কিন্তু ভিতরে এক জন স্ট্রেচারে শুয়ে ছিলেন দেখে এক মুহূর্তের জন্য পুলিশের মনে হয়েছিল, তাদের কাছে হয়তো ভুল তথ্য ছিল। তা-ও নিয়ম মেনে তল্লাশি করে দলটি। স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা ‘রোগী’কে তুলে ওই আসনের তলায় উঁকি দিতেই সন্দেহ জাগে তাদের। পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের বস্তা। সেগুলোর মুখ খুলতেই দেখা যায় প্রচুর মাদক। এর পর গাঁজা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে চালক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে যাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সটি আটকে ছিলেন, তাঁরা রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্য। তাঁদের তৎপরতায় পাচারের আগেই ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম খাইরুল মোল্লা, আজগর আলি মণ্ডল, প্রদীপ পাসি, অজয় সরজ, শ্যামল দলুই। ধৃতেরা প্রত্যেকে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সে করে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিপুল পরিমাণ মাদক আনা হয়েছিল। সেখানে একটি রিসর্টে অপেক্ষারত দু’জনের হাতে ওই গাঁজা তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সে জন্য নাটক করে এক জনকে রোগী সাজিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে হুটার বাজিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।