অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই ইস্তফা। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করলেন কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। রবিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর ওই তিন জন জানিয়েছেন, তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। শনিবার কঁথির জনসভায় ওই তিন জনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক।
শনিবার কাঁথিতে জনসভা করতে যাওয়ার আগে মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে ঢুকে পড়েন অভিষেক। সেখানে পঞ্চায়েতের পরিষেবা নিয়ে তাঁর কাছে অনুযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর জনসভায় গিয়ে মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং সংগঠনের অঞ্চল সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে। বিষয়টি নিয়ে রবিবারই কাঁথি ৩ ব্লকের বিডিও অফিসে সমস্ত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এর পর জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অঞ্চল সভাপতি। পাশাপাশি, ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান প্রধান এবং উপপ্রধানও। সোমবার বিডিও নেহাল আহমেদ কাছে প্রধান এবং উপপ্রধান ইস্তফাপত্র জমা দেবেন।
ইস্তফা দেওয়া নিয়ে ঝুনুরানি বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাই না।’’ কারণ হিসাবে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন তিনি। গৌতমের কথায়, ‘‘উনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই মতো আমি আজ ইস্তফাপত্র দিয়েছি। উনি তৃণমূল পরিবারের অভিভাবক। ছেলেমেয়েরা ভুল করলে অভিভাবকরা শুধরে দেন। তাই তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মান্য করব।’’ গৌতম আরও বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে মারিশদা অঞ্চলে যখন যায় যায় পরিস্থিতি তখন আমাকে দল দায়িত্ব দিয়েছিল। কারণ সেই সময় অনেকে দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আবার এখন দল মনে করেছে যে আমি ঠিকঠাক কাজ করতে পারছি না। সরে যাওয়া দরকার। সেই সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।’’ এর পর তিনি দলে থাকবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে গৌতম বলেন, ‘‘আমি সারাজীবন’ দলে থাকব।’’