৪৫ জন ধৃতকে তোলা হয় ডায়মন্ড হারবার আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আরও কয়েক জন গ্রেফতার হতে পারেন। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে অশান্তিতে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করল পুলিশ। শনিবার রাতভর অভিযানের পর রবিবার দু’পক্ষের মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবারই ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস মাঠে সভা ছিল শুভেন্দুর। সেই সভার আগে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর মেলে। চরম উত্তেজনা ছড়ায় হটুগঞ্জে। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা। তৃণমূল অভিযোগ করে তাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, অশান্তি পাকানোর পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি। দু’পক্ষের অশান্তিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসে ইটবৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয় পুলিশকে।
এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার উস্তি থানা এলাকা থেকে মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি সুন্দরবন পুলিশ জেলার কুলপি থেকে পাক়়ড়াও হন মোট ৯ জন। ওই অশান্তিতে জড়়ানো এবং ইন্ধন দেওয়ায় অভিযুক্ত আরও কয়েক জনের খোঁজ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শনিবার শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন তাঁর সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তিনি সরাসরি আক্রমণ শানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। পাশাপাশি, এই হটুগঞ্জের কথা উল্লেখ করে হাই কোর্টে মামলার হুঁশিয়ারিও দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করেন, তাঁর সভার আগে যত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার সমস্ত ক্ষতিপূরণ সরকারকেই দিতে হবে।
অন্য দিকে, শনিবারের ওই অশান্তির পর রবিবারও পুলিশি প্রহরায় রয়েছে হটুগঞ্জ। বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।