West Bengal Panchayat Election

প্রচারে শুভেন্দু, নিশানায় প্রশাসন

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এদিন নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ০৭:২৬
Share:

আন্তজার্তিক যোগ ব্যায়াম দিবসে দিঘায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

Advertisement

শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েই চলেছিলেন। বুধবার নন্দীগ্রামে পা রেখে বিরোধী দলনেতা তোপ দাগলেন রাজ্য প্রশাসনের দিকেও। নবান্ন ও নিবার্চন কমিশনকে তুলোধোনা করে আঁতাতের অভিযোগ করলেন।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এদিন নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা মিছিলে পা মেলানোর পর সভামঞ্চ থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘এবার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ২০১৩ সালের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিধানসভা ভোটে ভেটুরিয়ায় ঝাঁটা দেখিয়েছিল। গড় চক্রবেরিয়ায় গাড়িতে ঢিল মারার সব হিসাব হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘শুধু বড়ঞার বিডিও বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করলে হবে না। সিবিআই করতে হবে নবান্নের বিরুদ্ধেও। কারণ এই ভোট নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে না। পরিচালনা করা হচ্ছে নবান্ন থেকে। এই জেলাতেও এক বিডিওর বিরুদ্ধে জোর করে বিজেপির প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্ট মনোনয়নের সমস্ত তথ্য তলব করেছে।’’

বিরোধী দলনেতা বলেন, "রাজীব সিনহা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। যাকে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারে বসানো হয়েছে নবান্ন থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনও কাজই হচ্ছে না। কাজ হচ্ছে নবান্ন থেকে।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘যে দিন তৃণমূল মনোনয়ন জমা দেয় তার আগের দিন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ভিডিও কল করে জেলার সমস্ত বিডিওদের বলেছেন, ‘কাল তৃণমূলের মনোনয়ন, দেখে নিও’।’’ শুভেন্দুর দাবি, সমস্ত প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘‘কমিশনের নির্দেশমত কাজ করেছি।’’

শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটেছিলেন ২০ কিলোমিটার। আজ বিজেপি পদযাত্রা করেছে আড়াই কিলোমিটার। ফারাকটা মানুষ বুঝতেই পারছে। ভোট প্রচারে বিজেপির কোনও উন্নয়নের কথা নেই। কুৎসা আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে আদি বিজেপিরা সরে যাচ্ছে। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই ভুলভাল বকে বাজার গরম করছে। শুভেন্দু ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সমেত নন্দীগ্রামে বিজেপিকে হারাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement