আহত আইসি রাজীব পাল। —নিজস্ব চিত্র।
লরি দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র রণক্ষেত্র খড়্গপুর। ক্ষুব্ধ জনতার মারধরের হাত থেকে ঘাতক লরির চালককে রক্ষা করতে গিয়ে খড়্গপুর টাউন থানার আইসি রাজীব পাল-সহ সাত জন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হল ঘাতক লরির চালকের। ওই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ খড়্গপুর পাঁচবেড়িয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খড়্গপুর শহরের গোলবাজার থেকে চৌরঙ্গির দিকে যাচ্ছিল লরিটি। পাঁচবেড়িয়ায় একটি স্কুটিতে ধাক্কা দেয় লরিটি। ধাক্কার জেরে স্কুটি থেকে পড়ে মৃত্যু হয় যুবকের। যুবকের নাম অর্জুন নায়েক। তাঁর বয়স ৩০ বছর। তিনি খড়্গপুর শহরের নিউ ট্রাফিক এলাকায় থাকতেন।
দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। সে সময় লরি থেকে নেমে মৃত যুবককে দেখতে গিয়েছিলেন চালক। তাঁর নাম শ্যাম শঙ্কর ধনকোয়ার। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। অভিযোগ, সে সময় লরির চালককে কাছের একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ এবং খড়্গপুর টাউন থানার আইসি রাজীব পাল বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। লরির চালককে মারধরের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে পাল্টা পুলিশও মার খায় বলে অভিযোগ। আহত হন আইসি-সহ সাত জন পুলিশ কর্মী। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘পথ দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর পরে লরির চালককে মারধর শুরু করেন লোকজন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘাতক লরির চালককে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’