দিঘার সমুদ্র ছুঁয়ে সেই মেরিন ড্রাইভ। —নিজস্ব চিত্র।
এক টুকরো মুম্বই এ রাজ্যেও। বছর আষ্টেক আগে দিঘা থেকে মন্দারমণি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্প প্রায় সম্পূর্ণ। দিঘা থেকে সেই স্বপ্নের সড়ক ধরে সটান পৌঁছে যাওয়া যাবে তাজপুর সৈকতে। তবে মন্দারমণি জুড়তে এখনও সময় লাগবে কিছুটা। মাঝে বাকি আর একটি মাত্র সেতু নির্মাণের কাজ।
দিঘার নাইকালি মন্দিরের অদূরে পূর্ব মুকুন্দপুর গ্রামে মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সংযোগকারী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর ফলে মেরিন ড্রাইভ ধরে সহজেই দিঘা থেকে শঙ্করপুর হয়ে তাজপুর সমুদ্রসৈকতে যাওয়ায় পথ খুলে গিয়েছে। এর আগে ইয়াসের ধাক্কায় মেরিন ড্রাইভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো দিঘা থেকে নতুন দিঘার মধ্যে সমুদ্র সৈকতের রাস্তা সংস্কারের কাজ দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে আবারও ঝাঁ চকচকে চেহারায় ফিরছে দিঘা।
সূত্রের খবর, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাজপুর সমুদ্রবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পাশাপাশি নয়াচরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করতে পারেন তিনি। সেই সময় দিঘা থেকে তাজপুর পর্যন্ত যাওয়ার মেরিন ড্রাইভ পর্যটকদের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি সেতু নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে কোন কোন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি অখিল।
স্বপ্নের সড়ক ধরে সটান পৌঁছে যাওয়া যাবে তাজপুর। নিজস্ব চিত্র।
দিঘায় রোপওয়ে, টয় ট্রেন, কুমির পার্ক, চিড়িয়াখানা থেকে বিনোদনের নানা সম্ভার তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। এর পর দিঘা থেকে মন্দারমণি প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই মেরিন ড্রাইভ চালু হয়ে গেলে সমুদ্র তীরবর্তী বিস্তীর্ণ পর্যটন কেন্দ্রের বাণিজ্য অনেকটাই প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশায় এলাকার ব্যবসায়ীরা।