ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশীদের মারে মৃত্যু প্রৌঢ়ের। —প্রতীকী চিত্র।
ছেলেকে মারমুখী প্রতিবেশীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন প্রৌঢ় বাবা। প্রতিবেশীদের মারে জখম হন তিনি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তেরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এগরা থানার পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার রাসন গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম দীপক বেরা (৫৫)। তাঁর পুত্র অমিতকে মারতে বুধবার রাতে তাঁদের বাড়িতে এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছিল বলে খবর। এসেছিলেন প্রতিবেশী যুবক সদানন্দ দাস। রাত ১০টা নাগাদ লাঠিসোটা নিয়ে তিনি এবং তাঁর লোকজন অমিতের বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। অমিতকে বাঁচাতে তাঁর বাবা দীপক ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে সাহায্য করছিলেন তাঁর কন্যা তথা অমিতের দিদি মহুয়াও। দু’জনেই দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খান।
প্রৌঢ়ের বুকে দুষ্কৃতীরা আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তিনি পড়ে যান। এর পর দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। দ্রুত প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারী সদানন্দ কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী অমিতের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে গুজব রটে। সন্দেহের ভিত্তিতেই স্ত্রীকেও তিনি মারধর করে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। তার পর চড়াও হন দীপকের বাড়িতে। স্ত্রীর প্রেমিক সন্দেহে অমিতকে শাস্তি দেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। যদিও অমিতের পরিবার ওই সম্পর্কের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। এমন কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তারা।
এই ঘটনার পর রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।