Coronavirus

ভয়ে বাদ মুরগি, কর্মীদের পাতে মাছ

তৃণমূলের নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি, বাংলার গর্ব মমতা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশপুর শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:০৯
Share:

কর্মীদের মধ্যাহ্নভোজ।

তৃণমূলের সম্মেলনে আসা কর্মীদের দুপুরে বসিয়ে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন দলের নেতৃত্ব। সেখানে মেনুতে মুরগির মাংসের বদলে রাখা হল মাছ। শনিবার এই ছবিই দেখা গেল কেশপুরে।

Advertisement

তৃণমূলের সম্মেলনে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা থাকলে সেখানে সাধারণত মুরগির মাংসই থাকে। দলের এক সূত্রে খবর, এখন করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের অনেকেই না কি মুরগির মাংস খেতে ইচ্ছুক নন। তাই এদিন সম্মেলনের মধ্যাহ্নভোজে মাংসের বদলে মাছ রাখা হয়। মেদিনীপুরে আবার মধ্যাহ্নভোজে না গিয়ে সামান্য জলযোগেই সম্মেলন সেরেছেন নেতৃত্ব।

তৃণমূলের নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি, বাংলার গর্ব মমতা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। দলের নির্দেশ ছিল, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলন করে এই কর্মসূচি শুরু করতে হবে। এ দিন লকেশপুরের সেই কর্মসূচিতেই মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে সাদা ভাত, ডাল, তরকারির সঙ্গে মাছের পদ ছিল।শেষ পাতে ছিল চাটনি। কেন? কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের কথায়, ‘‘এখন মাংসের থেকে মাছই ভাল!’’

Advertisement

করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে মুরগির মাংসের বিক্রি একধাক্কায় ৭০- ৮০ শতাংশ কমে গিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মাংসের দামে ছাড় দেওয়াও শুরু করেছেন বিক্রেতারা। শনিবার মেদিনীপুর শহরের িকছু এলাকায় গোটা মুরগি বিক্রি করা হয়েছে কিলোপ্রতি ৪০ টাকা ও কাটা মুরগি কিলোপ্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেশপুরের আরেক এক তৃণমূল নেতা মানছেন, ‘‘অনেকে মুরগির মাংস খেতে চাইছেন না। তাই এদিন মেনুতে মুরগির কোনও পদ রাখা হয়নি।’’

এদিন মেদিনীপুরেও কর্মী সম্মেলন হয়েছে। এখানে অবশ্য সম্মেলন হয় বিকেলে। তাই কর্মীদের জন্য ছিল জলযোগের ব্যবস্থা। প্যাকেটে ছিল ভেজ কাটলেট, ক্ষীরের চপ, ছানার বড়া, কেশরভোগ এবং চিত্তরঞ্জন সন্দেশ। দলের এক সূত্রে খবর, শুরুতে সাড়ে তিনশো প্যাকেট টিফিন প্যাকেট আনা হয়েছিল। কর্মী বেশি আসায় পরে আরও একশো টিফিন প্যাকেট আনাতে হয়েছে। সম্মেলনে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি। মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতা বলছিলেন, ‘‘আমাদের মাছ, মাংসের ঝক্কি ছিল না! কর্মীদের জন্য সামান্য জলযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কর্মীরা তাতেই খুশি হয়েছেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement