এই ট্রফির জন্য চলবে লড়াই। —ফাইল চিত্র
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র চার দিন। এক মাস ধরে চলবে বিশ্ব ফুটবলের লড়াই। নজর থাকবে লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেমারদের মতো তারকাদের দিকে। উঠে আসতে পারে অন্য কোনও নতুন নামও। সারা বিশ্বের নজর থাকবে কাতারের ফুটবল যুদ্ধের দিকে। এর মাঝেই জেনে নেওয়া যাক কিছু নিয়ম।
পয়েন্ট সমান হলে: গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচগুলি শেষে দু’টি করে দল যাবে নক আউট পর্বে। যদি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কোনও দলের পয়েন্ট সমান হয়, তা হলে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের পর্বে। সেটাও যদি সমান হয় তা হলে যে দল বেশি গোল করেছে সেই দল যাবে পরের পর্বে। যদি তা-ও সমান হয় তা হলে যে দুই দলের মধ্যে সমান পয়েন্ট, গোল পার্থক্য এবং গোল সংখ্যা রয়েছে তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখা হবে। তাতে যদি পয়েন্ট এবং গোল সমান হয় তা হলে যে দল কম কার্ড দেখেছে, সেই দল যাবে পরের রাউন্ডে। সেটাও যদি সমান হয় তা হলে ফিফার ক্রমতালিকায় যে দল এগিয়ে রয়েছে, সেই দল যাবে নক আউট পর্বে।
পরিবর্ত ফুটবলার: করোনার পর থেকে ফুটবলে ৯০ মিনিটের মধ্যে পাঁচটি পরিবর্তন করা যায়। আগে তিন জন ফুটবলারকে পরিবর্তন করা যেত। করোনার পর থেকে নিয়ম পাল্টেছে। এ বারের বিশ্বকাপে পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করা গেলেও তা করতে হবে তিন বারের মধ্যে। বিরতির সময় বাদ দিয়ে তিন বারের মধ্যে পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করা যাবে।
অফসাইড: একজন ফুটবলার কখন অফসাইড হবেন সেটার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ফিফা। নিয়ম অনুযায়ী একজন ফুটবলার যখন বিপক্ষের অর্ধে তাদের ফুটবলারদের থেকে এগিয়ে রয়েছে, সেই সময় যদি সেই ফুটবলারের সতীর্থ তাঁকে পাস বাড়ান এবং সেই পাস বাড়ানো বলে তিনি পা ছোঁয়ান তবে সেটি অফসাইড। প্রযুক্তির সাহায্যে এ বারের বিশ্বকাপে অনেক সূক্ষ্ম ভাবে অফসাইড ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।