গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পরেই ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মানিকতলা আসনের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কল্যাণের আইনজীবী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান। ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেননি। তিনি জানান, আগামী ৯ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অনেকে মনে করছেন, শীর্ষ আদালত তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠানোর পরেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কল্যাণ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সমাজমাধ্যমে পোস্টে লেখেন, ‘‘অকারণে প্রচুর সময় নষ্টের পর আদালতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে মামলা তুলে নিলেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে।’’
২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ে গোটা রাজ্যে ২১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। মানিকতলার বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে (বর্তমানে প্রয়াত)। পরাজিত হন কল্যাণ। ওই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ করেছিলেন কল্যাণ। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন।
হাই কোর্টে কল্যাণ অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল প্রার্থী তৎকালীন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভার ভোটারদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট কিনেছিলেন। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে জল এবং বিদ্যুতের লাইন কাটার ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছিলেন তিনি।
তার পর থেকে প্রায় দু’বছর ধরে হাই কোর্টে ওই মামলাটি চলছে। কল্যাণের অনীহার কারণে হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত কল্যাণকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। মামলায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। তারই মধ্যে হাই কোর্ট থেকে ব্যক্তিগত কারণে মামলা প্রত্যাহার করার আর্জি জানান কল্যাণ।