নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনে পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
নেতাজির ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার আগে, শ্যামবাজারে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা। শনিবার কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘ভোটের আগে এক বার নয়, চিরকাল নেতাজির পরিবারের সঙ্গে থাকি। দয়া ভিক্ষার উপর নির্ভর করেন না নেতাজি।’’ নেতাজির ভাবনা প্রসূত পরিকল্পনা কমিশন তুলে দেওয়া নিয়েও এ দিন কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা।নেতাজি স্মরণে এ দিন শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত পদযাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড়টা নাগাদ রেড রোডে শেষ হয় ওই মিছিল।
শনিবার শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত এই পদযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া যোগ দেন তৃণমূলের সাংসদ এবং বিধায়করা। পাশাপাশি পদযাত্রায় পা মেলান বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। রাস্তার দু’পাশে হাজির হন বহু মানুষ। মিছিল লক্ষ করে ফুল ছুড়তে থাকেন অনেকে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। আক্ষরিক অর্থেই বর্ণাঢ্য হয়ে ওঠে নেতাজি স্মরণে মুখ্যমন্ত্রীর ওই পদযাত্রা।
শনিবার পদযাত্রার আগে নেতাজি ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখানে তাঁর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সেখান থেকে তিনি পৌঁছে যান শ্যামবাজারে, পদযাত্রায় যোগ দিতে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সওয়া ১২টা নাগাদ ওই শোভাযাত্রা শুরু হয়। ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেড রোডে সুভাষচন্দ্রের মূর্তি পর্যন্ত হয় মিছিল।
শনিবার সকালে নেতাজিকে নিয়ে ৩টি টুইট করেন মমতা। প্রথমটিতে লেখেন, ‘দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। উনি ছিলেন প্রকৃত নেতা। মানুষের ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন। আমরা আজকের দিনটা ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে পালন করছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে’।
মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় টুইট বলছে, ‘রাজারহাটে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। নামকরণ হবে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’-এর নামে। এ ছাড়া নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ থাকবে’।
তৃতীয় টুইটে শনিবারের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন মমতা। ‘এক বৃহৎ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে আজ। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডও নেতাজির নামেই উৎসর্গ করা হবে। শনিবার সওয়া ১২-য় সাইরেন বাজানো হবে। প্রত্যেককে আর্জি জানাচ্ছি, বাড়িতে শঙ্খ বাজাবেন’। সেই সঙ্গে মমতা আরও একবার ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। টুইটে লেখেন, ‘২৩ জানুয়ারির দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র’। এর পর তিনি হ্যাশট্যাগ করে লেখেন ‘দেশনায়ক দিবস।’