অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা নারুলা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সিবিআই দিল্লিতে তলব করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের নেতা অনুব্রত মণ্ডল, মলয় ঘটকদের বিরুদ্ধে সিবিআই তৎপরতা নিয়ে। বুধবার বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট বক্তৃতার মধ্যেই তিনি বলেন, "কেষ্ট (অনুব্রতকে এই নামেই ডাকে মুখ্যমন্ত্রী), মলয়কে সিবিআই ডাকছে। অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে বলেছে কলকাতা নয়, দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। নির্লজ্জভাবে সিবিআই ইডি-র মতো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআই, ইডির মতো সংস্থাগুলি খাঁচায় বন্দী তোতাপাখির মতো আচরণ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যা বলছে তাই করছে। একটা বিরোধী দলকে একটি করে সিবিআইয়ের মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সিবিআই দিয়ে এ ভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না।’’
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে একাধিকবার হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু আদালতে রক্ষাকবচের আবেদন করে বারবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটককেও বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। সম্প্রতি কয়লাপাচার-কাণ্ডের তদন্তে ইডি ভিন্রাজ্যে ডেকে পাঠানোর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক ও রুজিরা। গত শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করেছেন বিচারপতি রাজনীশ ভটনাগর। রুজিরার আর্জি ছিল, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাই তাঁদের দিল্লিতে তলব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন কোনও রাজনৈতিক রং দেখে কাজ করে না। তাই ঝালদার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো তৃণমূলকর্মী হলেও তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।