মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মেট্রো প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বারবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে বৌবাজারে। গত সপ্তাহেও সেখানে বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। তা নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এ বার মেট্রো তথা রেল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা নিয়েই কার্যত কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রেলের মতো একটা সংস্থা, তাদের দ্বারা ভাল কাজ হয় না!”
গত বৈঠকেই প্রশাসনিক কর্তারা মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁদের কাজের আগাম তথ্য কেন পাওয়া যাচ্ছে না। বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল, সুরক্ষা বন্দোবস্তের প্রশ্নে এ ধরনের কাজে ভবিষ্যতে মেট্রো পুলিশ এবং পুরসভাকে আগে থেকে তথ্য জানাবে। ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের বিকল্প থাকার ব্যবস্থা, তাঁদের এবং দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্তও করতে বলেছিল রাজ্য। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা প্রকল্প করতে পারে না... করতে গিয়ে ঢুকঢুক করছে। লোকে ভাবছে, কী করে থাকবে! রোজ রোজ বাড়ি পাল্টাবে? ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নেই?” কার্যত বিজেপি এবং সিপিএমের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর কটাক্ষ, “এ সব নিয়ে কথা বলতে পারে না। দুই বন্ধু, বোবা আর হাবা।”
প্রবীণ আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, মেট্রো প্রকল্প নিয়ে অতীতে টানাপড়েন কিছু কম হয়নি। কৃতিত্ব দেওয়ার প্রশ্নেও ছিল বিতর্ক। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রেল প্রকল্প সব আমার করে দেওয়া। বৌবাজারে বারবার ভাঙন হচ্ছে। টিকিটের দাম একশো শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু লোককে পয়সা দেয় না। ১৫ টাকার ইজ্জত টিকিট করে দিয়েছিলাম, কিচ্ছু নেই। মেট্রোর সব প্রকল্প আমি করে টাকা দিয়ে এসেছিলাম। একটাও বিজেপির প্রকল্প নয়।”
রেলের এক কর্তার বক্তব্য, একাধিক প্রকল্পের কাজ জমি জটে ব্যাহত হয়েছে। প্রকল্প রূপায়ণে বিলম্ব হয়েছে। খরচও বেড়েছে। আগামী জুনের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প সম্পূর্ণ করার সব ধরনের চেষ্টা চলছে। যাবতীয় সতর্কতা নিয়েই কাজ হচ্ছে। রেল সূত্রের বক্তব্য, রুট বদলের ফলে প্রকল্পের খরচ দ্বিগুণের চেয়েও বেড়েছে। পরিবর্তিত পথে যে সব প্রতিকূলতা হচ্ছে, তার মোকাবিলায় রেল সব ধরনের চেষ্টা করছে।