bike accident

Accident: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ধাক্কা, মৃত্যু বাইকচালকের

এ দিন বাইকে ধাক্কা মারার পরে বাইকচালককে নিয়েই গাড়িটি সজোরে সামনে গাছে ধাক্কা মারে। সুনীলবাবুর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৩৯
Share:

সুনীলবাবুর মোটরবাইক এবং যে গাছে ধাক্কা ‌মারে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ব্রেকের বদলে ‘ভুলবশত’ পা চলে গিয়েছিল অ্যাক্সিলারেটরে। মুহূর্তের মধ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় সদ্য কেনা গাড়িটি। এর পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি সজোরে ধাক্কা মারে সামনে যাওয়া একটি মোটরবাইকে। স্থানীয়েরাই আহত বাইকচালককে উদ্ধার করে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র থানা এলাকার নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভ আবাসনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুনীলকুমার গড়াই (৫১)। গাড়িটির চালক মোহনলাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় বিজ্ঞানী সুনীলবাবু ওই আবাসনেরই বাসিন্দা ছিলেন। তবে কর্মসূত্রে তিনি বিশাখাপত্তনমে থাকতেন। দিন দুয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন। এ দিন সকালে নিজেই বাইক চালিয়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা।

এ দিন বাইকে ধাক্কা মারার পরে বাইকচালককে নিয়েই গাড়িটি সজোরে সামনে গাছে ধাক্কা মারে। সুনীলবাবুর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না বলে জানা গিয়েছে। আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়েরাই ছুটে এসে রক্তাক্ত সুনীলবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

Advertisement

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী রহমান শেখ বলেন, ‘‘বিকট আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি, গাড়িটি গাছে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। গাড়ির নীচে আটকে রয়েছেন এক জন। তাঁর নাক-মুখ ও মাথা ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে। বাইকটি পড়ে রয়েছে রাস্তায়। আমরাই ওই ব্যক্তিকে গাড়ির নীচ থেকে টেনে বার করি। এতটাই রক্ত বেরোচ্ছিল যে, প্রথমে কোনও গাড়িই ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়নি। পরে একটি রিকশা ডেকে আমরা সুনীলবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে থাকা এক ব্যক্তিও ওই রিকশায় হাসপাতালে যান বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, আবাসনের ভিতরের রাস্তায় গাড়ি চালানো শিখছিলেন মোহনলাল। পাশে বসেছিলেন আরও এক জন। সে সময়েই কোনও ভাবে ব্রেকে পা দেওয়ার বদলে অ্যাক্সিলারেটরে পা চলে যায় চালকের। তাতেই ঘটে বিপত্তি।

কিন্তু আবাসনের ভিতরে এই দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবাসনের রাস্তায় একাধিক ব্যারিকেড থাকলেও কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। বেণীমাধব দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘এই সরু রাস্তা দিয়েই বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। সেখানে কী ভাবে ওই ব্যক্তি গাড়ি চালানো শিখছিলেন, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি ও বাইকটিকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তাঁর পাশে বসা ব্যক্তির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement