গ্রেফতার ওই ছাত্রনেতা। নিজস্ব চিত্র।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে চড় মারার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল (তৃণমূলের দাবি, তিনি দলের কেউ নন)। উপাচার্যের ঘরে রীতিমতো তাণ্ডব করেন গিয়াসুদ্দিন-সহ আরও কয়েকজন যুবক। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর পর রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে টেকনো থানার পুলিশ।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে চড় মারার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল (তৃণমূলের দাবি, তিনি দলের কেউ নন)। উপাচার্যের ঘরে রীতিমতো তাণ্ডব করেন গিয়াসুদ্দিন-সহ আরও কয়েকজন যুবক। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর পর রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাইরাল ভিডিয়োয় উপাচার্য মহম্মদ আলির গিয়াসুদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘‘‘ওই গালে দুটো চড়িয়ে দেব। আমার চড়ে প্রচুর লাগে। যে ক’টা তোর ছেলে আছে জিজ্ঞেস করে নিবি।’’
গিয়াসুদ্দিন নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি দাবি করেছেন, উপাচার্য দুর্নীতিতে যুক্ত। তিনি পাঁচ পড়ুয়াকে অনৈতিক ভাবে পিএইচডি-তে সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন বটে। কিন্তু প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। এ নিয়েই তাঁরা ‘প্রতিবাদ’ জানাতে উপাচার্যে ঘরে গিয়েছিলেন।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘ ওই ছাত্রনেতার ছবি দিয়ে কটাক্ষপূর্ণ টুইট করেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘তথাকথিত বাংলার মেয়ের শাসনকালে, এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি... উপাচার্যকে ঘেরাও করা, বিক্ষোভ দেখানো, এ রাজ্যে নতুন নয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই এমন ছবি দেখা যায়। কিন্তু, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।’’ তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ না করার অভিযোগ এনেছিলেন।