চুরির পরে লন্ডভন্ড দোকান। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
চালু হওয়ার মাত্র ১২ দিনের মাথায় একটি সোনার দোকান থেকে নগদ টাকা এবং গয়না চুরি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার চম্পাহাটির সাহেবপুরে।
অভিযোগ, দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তারা প্রথমে গ্যাস কাটার দিয়ে দোকানের শাটার কাটে। এর পরে কোল্যাপসিব্ল গেটের তালা ভেঙে ঢুকে দোকানের ভল্ট ভেঙে নগদ টাকা হাতায়। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চুরির আগে দোকানের ভিতরের তিনটি সিসি ক্যামেরা ও বাইরের দু’টি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কও খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা।
বুধবার সকালে পড়শি দোকানদারদের কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন ওই সোনার দোকানের মালিক অজয় মণ্ডল। তার পরেই খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। তদন্তে নেমেছেন সোনারপুর থানা এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপের অফিসারেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিকাপুর (২) পঞ্চায়েতের কাছে একটি গলিতে গত পয়লা জানুয়ারি ওই সোনার দোকানটি চালু করেন অজয়বাবু। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাত আটটার সময়ে দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। এ দিন সকালে সাতটা নাগাদ অন্যদের থেকে চুরির কথা জানতে পারি। এসে দেখি, দোকানের ভিতরে লন্ডভন্ড অবস্থা। উধাও টাকা ও গয়না।’’ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এ দিন দোকান থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে দু’টি সোনার আংটি এবং কয়েকটি শাঁখা-পলা মেলে। পাওয়া যায় ভল্ট খোলার কিছু সরঞ্জামও। উদ্ধার হওয়া ওই সব সামগ্রী ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে এলাকার গলিপথগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয় না। নজর দেওয়া হয় না নিরাপত্তায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা কয়েক দিন ধরে নজরদারি চালিয়ে এই কাজ করেছে। ঘটনার পিছনে পরিচিত কারও যোগসাজশ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।