—প্রতীকী ছবি।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি দখল করে নির্মাণের বিরুদ্ধে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ প্রশাসন কতদূর পালন করেছে, তা নিয়েই বুধবার প্রশ্ন উঠল আদালতে। একটি মামলার শুনানিতে এ দিন প্রশাসনের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। তাঁর নির্দেশ, ওই জলাভূমির দায়িত্বে থাকা পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি) ৩১ জুলাই কাজেরঅগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে হবে। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য দেবে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী দুই সংস্থা, সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম।
আদালতের নির্দেশ পালনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্নতুলেছেন বিচারপতি। এজলাসে বসেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘নির্দেশ পালন নিয়ে এত দিন কী করেছে প্রশাসন? সামগ্রিক ভাবে কী করেছেন ডিএম (জেলাশাসক)? বেআইনি নির্মাণ কি শুধুই কাগজে-কলমে ভাঙা হয়েছে?’’ জেলাশাসক ‘উদাসীন’ আচরণ করছেন বলেও বিচারপতির পর্যবেক্ষণ। তাঁর নির্দেশ,দখল হয়ে যাওয়া জলাভূমি আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। বিচারপতি সিংহের মন্তব্য, ‘‘গয়ংগচ্ছ মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না। এ বারথেকে এই মামলার লাগাতার শুনানি হবে।’’
রাজ্যের কৌঁসুলি অবশ্য এ দিন কোর্টে দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ প্রশাসন পালন করছে। একটি বেআইনি তেতলা বাড়ি-সহ একাধিক নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। প্রশাসন প্রায় ৫০০টি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করেছে। তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘তা হলে অন্তত পাঁচটি নির্মাণ ভাঙার প্রমাণ দিন।’’
মামলাকারীর আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন যে, আদালত এই মামলায় প্রথম যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বলেছিল, তাতেপ্রশাসন হাত দেয়নি। এ দিন বিচারপতি সিংহ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে কার্যত ওই পদের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, জেলাশাসক সক্রিয় না হলে নির্মাণ ভাঙা হবে না।বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে বিক্ষোভ হতে পারে। কিন্তু বেআইনি নির্মাণ ভাঙার চেষ্টা করতেই হবে।