কলকাতা পুরভোটে নতুন প্রার্থীদের প্রচার অভিযানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানতে পেরেছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। —ফাইল চিত্র।
কোথাও কোনও ‘অপরিচিত’-কে প্রচারে নেওয়া যাবে না। কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে নাম নতুন প্রার্থীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। গত ২৬ নভেম্বর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল ৮৯ জন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটরকে টিকিট দিয়েছে শাসকদল। নতুন প্রার্থী ৫৫ জন।
ঘটনাচক্রে, নতুন প্রার্থীদের প্রচার অভিযানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানতে পেরেছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী কলকাতা জেলার দুই সভাপতি মারফত নতুন প্রার্থীদের কাছে ওই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও ধরনের ‘অপরিচিত’ মুখকে যেন প্রচারে, মিছিলে, পথসভায় না দেখা যায়।
গত শনিবার দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে তৃণমূলের ‘ইস্তাহার’ প্রকাশ কর্মসূচিতে শীর্ষনেতৃত্বের পাশাপাশি হাজির হয়েছিলেন প্রার্থীরাও। সেই কর্মসূচির শেষে কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত। সেখানে তিনি সরাসরিই প্রার্থীদের জানিয়ে দেন, ‘অপরিচিত’ কোনও ব্যক্তিকে প্রচারে শামিল করা যাবে না।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরভোটের নতুন প্রার্থীদের তিনি বলেছেন, ভোটের সময় অনেক ‘অসাধু ব্যক্তি’ প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে গিয়ে নিজেদের প্রভাব জাহির করার সুযোগ পেয়ে যায়। তা ছাড়া নেটমাধ্যমের এই রমরমার যুগে প্রার্থীর সঙ্গে নিজেদের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে নানা কাজে তারা সেই ছবি ব্যবহার করতে পারে। প্রার্থীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যে ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে, তা-ও জনতার কাছে কৌশলে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করতে পারে।
সুব্রত মনে করছেন, এসব ক্ষেত্রে ভোটের আগেই যেমন প্রার্থীরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন, তেমনই ভোট-পরবর্তী পর্যায়ে দলও ওই ধরনের অসাধু ব্যক্তিদের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। এমন অযাচিত ঘটনা এড়াতেই তাই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সভাপতির এমন নির্দেশ পেয়েই নতুন প্রাথীদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তাপস রায় এবং দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার। দলের এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন তাপস। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোটের সময় প্রার্থীদের অপরিচিত লোকেদের সঙ্গে কথা বলা বা মেলামেশার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন যদি থেকেই থাকে তাহলে তা ভোটের পর দেখা যাবে।’’