স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। — ফাইল চিত্র।
১৯৩ বছরের পুরনো স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে শীঘ্রই পড়াশোনা করতে পারবেন মেয়েরাও। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিধান সরণির ওই স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে ছাত্রীরাও। উত্তর কলকাতার ডাফ স্ট্রিটে প্রাথমিক এবং প্রাক্ প্রাথমিক স্কুলও খুলতে চলেছে শতাব্দীপ্রাচীন এই স্কুল। সেখানে পরের শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
১৮৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। এত বছর সেখানে শুধু ছাত্রেরাই পড়ার সুযোগ পেত। ছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পেত না। এই প্রসঙ্গে সেখানকার অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল বলেন, ‘‘অনেকেই বলছিলেন মিশনারি স্কুলে কেন মেয়েদের সুযোগ দেওয়া হয় না! তার পরেই আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত। এ বার মেয়েরাও পড়ার সুযোগ পাবে।’’
তবে কেষ্টপুরে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে ২০১৯ সাল থেকে ভর্তি হচ্ছে ছাত্রীরা। সেটি দিল্লি বোর্ডের অধীনে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এমনিতে গির্জার কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা একটি মিশনারি স্কুল। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ডাফ স্ট্রিটে নতুন একটি ক্যাম্পাস করেছেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে আগে গির্জা পরিচালিত একটি স্কুল ছিল। সেই স্কুলটি ভাল চলছিল না। তার জায়গায় স্কটিশ চার্চ কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রাথমিক এবং প্রাক্ প্রাথমিক স্কুল করছে। ২০২৪ সাল থেকে ভর্তি শুরু। তিন বছর বয়সি ছেলে এবং মেয়েরা এই স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। দু’বছরের বেশি বয়সি বাচ্চা, যাদের মায়েরা চাকরি করেন, তাদের জন্য ডেকেয়ার এবং ক্রেশও খুলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যাতে ডাফ স্ট্রিটের ওই ডেকেয়ারে বাচ্চাদের রেখে মায়েরা চাকরিতে যেতে পারেন।
স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে ইতিমধ্যে কো-এড ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি স্থির হয়েছে। এ বার বোর্ডের অনুমোদন (অ্যাফিলিয়েশন) নেওয়া হবে। বিধান সরণির প্রধান ক্যাম্পাসে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং ডাফ স্ট্রিটের প্রাথমিক এবং প্রাক প্রাথমিক স্কুলগুলি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের অধীনেই থাকবে। বিধান সরণিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বরাবরই রাজ্যের বোর্ডের অধীনে। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলের বয়স যখন ২০০ বছরে পৌঁছবে, তখন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় একটা ভারসাম্য থাকবে।