(বাঁ দিকে) সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর। আরজি করের বর্তমান সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে তলব করেছে সিবিআই। বুধবার দুপুরে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বুধবারও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই নিয়ে পর পর ষষ্ঠ বার তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন। গত শুক্রবার থেকে সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতি দিন সকালে তিনি যাচ্ছেন, রাতে বাড়ি ফিরছেন। তার মাঝে বুধবার ডাকা হল বুলবুলকেও। দুপুরে তিনি যখন সিজিওতে পৌঁছেছেন, তখন ভিতরে রয়েছেন সন্দীপও।
আরজি করের ডিন পদে ছিলেন বুলবুল। গত ৯ অগস্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর নিরাপত্তা এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সেখানেই হাসপাতালের কর্তাদের পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়েছিল। অন্যান্যদের সঙ্গে সুপারকেও সরানো হয়েছিল তখন। তার পরেই ডিন থেকে সুপার পদে নিয়োগ করা হয় বুলবুলকে। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরজি করে যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার নেতৃত্বেও ছিলেন এই বুলবুল।
সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হচ্ছে বুলবুলকে। তিনি সে দিনের ঘটনার কথা কখন, কার কাছ থেকে জেনেছিলেন, ঘটনার দিন কোথায় ছিলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান হিসাবে কী কী করেছেন, কোনও তথ্য পেয়েছেন কি না ইত্যাদি প্রশ্ন তাঁকে করতে পারেন গোয়েন্দারা।
এর আগে আরজি করের একাধিক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। পর পর দু’দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে। মৃত চিকিৎসক ওই বিভাগেই ছিলেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, পড়ুয়াকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ সন্দীপের মতো দীর্ঘ হয়নি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা এক। পুলিশ তাঁকে ঘটনার পরের দিনই গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালে নিত্য যাতায়াত করতেন বলে খবর। তাঁর গতিবিধি সম্বন্ধে বুলবুল কিছু জানতেন কি না, তা-ও জানতে চায় সিবিআই।