Sandip Ghosh

বাড়িতে হামলা হতে পারে! আতঙ্কে সন্দীপের পরিবার, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ কোর্টের

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশকে সন্দীপের এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪১
Share:

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশকে সন্দীপের এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। সন্দীপের বাড়ির সামনে ইতিমধ্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে বুধবার আদালতে জানায় রাজ্য।

Advertisement

নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। তাঁর অভিযোগ ছিল, আরজি করের ঘটনার পর থেকে তাঁকে নিয়ে অনেক ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে সমাজমাধ্যমে। এমনকি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তা-ও সঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন সন্দীপ। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন, আদালতে জানান সন্দীপ। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তাঁর আইনজীবী। বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়।

আদালতে সন্দীপ জানিয়েছিলেন, তাঁর গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাজ্য অথবা কেন্দ্র, যে কোনও নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তিনি। কোনও নিরাপত্তায় তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন। এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত।

Advertisement

বুধবার হাই কোর্টে রাজ্য জানায়, সন্দীপের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে। ওই বাড়ির নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন স্বয়ং বেলেঘাটা থানার ওসি। রাজ্যের বক্তব্য শুনে মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, মামলাকারীর বাড়ির সামনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে।

আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। গত শুক্রবার থেকে প্রতি দিনই তাঁকে তলব করা হচ্ছে। বুধবারও সকালে তিনি হাজিরা দিয়েছেন সিবিআই দফতরে। প্রতি দিন সকালে যাচ্ছেন, রাতে ছাড়া হচ্ছে সন্দীপকে। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সন্দীপের অপসারণ চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই তদন্তপ্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এর পর চাপের মুখে সন্দীপ নিজেই পদত্যাগ করেন। তাঁকে সে দিনই অন্য হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাই কোর্ট সন্দীপকে আপাতত লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই থেকে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। পদত্যাগের পর তড়িঘড়ি সন্দীপকে নিয়োগের জন্য রাজ্যের সমালোচনাও করেছিল আদালত।

কিছু দিন আগে সন্দীপের বাড়ির সামনে রাতে জমায়েত হয়েছিল। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে অনেকে ওই বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়েছিলেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মাঝেই বাড়িতে হামলার আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement