কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: এক্স।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কংগ্রেসের ‘লালবাজার অভিযান’ ঘিরে উত্তেজনা। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল ফিয়ার্স লেন ধরে লালবাজারের দিকে এগোনোর সময়েই সেটিকে বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। পুলিশি বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ। এর পরই শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকর্মীরাও আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। বেশ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, মিতা চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, রোহন মিত্র-সহ আরও অনেককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের এই মিছিলের বিষয়ে গত কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে দলের বড়বাজার সংগাঠনিক জেলার তরফে মঙ্গলবার এই মিছিলের কথা ঘোষণা করা হয়। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে এই ‘লালবাজার অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিল তারা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে কলেজ স্কোয়্যার থেকে লালবাজারের দিকে এগোতেই ফিয়ার্স লেনে সেটিকে বাধা দেয় পুলিশ। কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাকি নেতা-কর্মীরা রাস্তার উপরে বসেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশকর্মী। রয়েছেন আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরাও। পুলিশের তরফে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের তরফে বোঝানোর চেষ্টা হয় যে, মিছিল এগোতে দেওয়া যাবে না। এর পরও কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকেরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁরা রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।