—ফাইল চিত্র।
পুলিশি জেরায় যাদবপুরের ক্যান্টিনের রাঁধুনি স্বীকার করেছেন ‘ছাত্রদের উপর অত্যাচার’ হত। এ বার সেই ক্যান্টিনেরই আরও পাঁচ কর্মচারীকে থানায় ডেকে পাঠাল পুলিশ। বুধবারই তাঁদের যাদবপুর থানায় আসতে বলা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের বেশ কয়েক জন থানায় এসে পৌঁছেছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ক্যান্টিন থেকে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কী সূত্র মিলতে পারে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
মঙ্গলবার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল যাদবপুরের মেন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। দুর্ঘটনার রাতে বা তার আগে মেন হস্টেলে কী হয়েছিল বা হতে তা নিয়ে এর আগেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেছিলেন ওই রাঁধুনি। জানিয়েছিলেন, হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গত ৯ অগস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। তাতে র্যাগিংয়ের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্যান্টিনের কর্মচারীদেরও ডেকে পাঠানো হল থানায়।
অনুমান, ক্যান্টিনে যে হেতু সব ছাত্রদেরই অল্পবিস্তর যাওয়া-আসা থাকে, সে জন্য ছাত্রদের পারস্পরিক কথাবার্তা বা আচরণ চোখের সামনে দেখতে পান তাঁরা। তা ছাড়া হস্টেলের সংলগ্ন হওয়ায় বিভিন্ন ঘটনাও ক্যান্টিন কর্মীদের চোখে পড়ে থাকতে পারে। যেমন রাঁধুনির চোখে পড়েছিল জুনিয়রদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়টি। অনুমান, পুলিশ হয়তো এই কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সে ব্যাপারেই জানতে চাইতে পারে।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান এক ছাত্র। তাঁর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা জানতে পেরেছে, হস্টেলের বারান্দায় সে দিন ওই ছাত্রটিকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছিল। তবে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে চায়। তার জন্যই প্রমাণ জোগাড় করার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে পুলিশ এ-ও জানতে চাইছে, যে ১৩ জনকে ইতিমধ্যে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তার বাইরে আরও কেউ হস্টেলে র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না।