—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৯ অগস্ট রাতে র্যাগিং হয়েছিল বলে প্রমাণ পেলেন তদন্তকারীরা। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সূত্রে খবর, তাঁদের তদন্তকারী দল সে দিনের রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখে এই প্রমাণ পেয়েছেন। মঙ্গলবারই যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ৩০টিরও বেশি ফাইল পাঠানো হয় কমিশনের কাছে। এর পর ঘটনার রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখতে শুরু করে কমিশনের নিজস্ব তদন্তকারী দল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের কাছে তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেন বলে সূত্রের খবর। সেই রিপোর্টেই না কি র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়ানেই র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
বুধবারই কমিশন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জবাবে বলেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তাঁদেরকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। রেজিস্ট্রিার বলেন, ‘‘যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, তার পুরোটাই আমরা জমা দিয়ে দিয়েছি। কমিশন আমাদের র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে কিছু জানায়নি।’’ একই সঙ্গে রেজিস্ট্রার জানান, বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট বুধবারই পাঠাবেন তিনি।
গত ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এক ছাত্রকে। পরের দিনই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা। হস্টেল আঁকড়ে পড়ে থাকা প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন। তার পর থেকেই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এ যাবৎ গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে অন্তত ১৩ জন।
ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির তরফে দু’টি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যাদবপুরের দু’টি রিপোর্ট পেয়েও সন্তুষ্ট নন তাঁরা। হয়তো আবার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ক। বুধবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু অবশ্য জানিয়েছেন, ইউজিসির তরফেও কোনও রিপোর্ট আসেনি তাঁর কাছে।