প্রশ্ন শুনে মুখ ঘুরিয়ে গাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বুধবার। যাদবপুর ক্যাম্পাসে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন করা হয়েছিল সিসি ক্যামেরার নজরদারি নিয়ে। সংক্ষেপে জবাবও দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু সে উত্তরের বিশদ জানানোর অনুরোধ করতেই মেজাজ হারালেন তিনি। ক্যামেরার সামনে দৃশ্যতই বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘‘বার বার একই প্রশ্ন? আমি কি সব মুখস্থ করে রেখে দিয়েছি?’’
বুধবার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেই খবর নিতেই যাদবপুরের নতুন উপাচার্যের মুখোমুখি হয়েছিল সংবাদমাধ্যম। জানতে চেয়েছিল, তবে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বুধবার থেকেই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে? বসানো হলে, সেগুলো কোথায় বসানো হবে? জবাবে উপাচার্য জানান, প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্বের বিচার করে কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মেজাজ হারান উপাচার্য।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে উপাচার্য বুদ্ধদেবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট কি কিছু ঠিক হয়েছে? এর পরের কথোপকথন ছিল নিম্নরূপ—
উপাচার্য: এর জন্য রিকোয়্যারমেন্ট অ্যানালিসিস দরকার। আগে তো অ্যানালিসিস করতে হবে। আগে শুনেছি একটা প্ল্যান হয়েছিল, সেই সব প্ল্যান খুঁজে দেখতে হবে। এমনিতেও প্রাথমিক ভাবে কিছু স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। তবে একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিকাঠামোর জন্য সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আনন্দবাজার অনলাইন: স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টগুলি কী কী?
উপাচার্য: এই দেখুন একই কথা। এটা কোনও কথা হল? স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টগুলো কী কী— আমি সব মুখস্থ করে রেখে দিয়েছি?
এক সাংবাদিক: আজকে কি কোথাও সিসিটিভি বসানো হবে?
উপাচার্য: ইনিসিয়ালি হস্টেলের মেন গেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসের কয়েকটি জায়গায় বসবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন: আজকে বসানো হবে?
উপাচার্য: (বিরক্তিসূচক শব্দ করে) আপনারা প্রশ্ন করবেন, দেখুন, ইউনিভার্সিটিরও একটা টাইম আছে। আপনারা এ দিকে একই প্রশ্ন বার বার করে যাচ্ছেন। (বলে গাড়িতে উঠে পড়েন)