কলেজ স্কোয়্যারে নাগরিক সমাজের মিছিল আটকাল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় নাগরিক সমাজের মিছিলে পুলিশের বাধা। ছড়াল উত্তেজনাও। শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়্যার থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক রং ছাড়াই সমাজমাধ্যমে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কলেজ স্কোয়্যারে শুরুতেই তা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। পরে কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল এগতে দেয় পুলিশ।
প্রথমে পুলিশের দাবি ছিল, ওই মিছিলের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই আটকানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বাগ্বিতণ্ডা। পুলিশকে ঘিরে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তুলতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের প্রশ্ন, আরজি করে ভাঙচুরের রাতে পুলিশকর্মীরা কোথায় ছিলেন? আরজি কর পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত অনড় ছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। অনুমতির জন্য পুলিশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তাঁরা।
নাগরিক সমাজের মিছিল ঘিরে কলেজ স্কোয়্যারে প্রচুর মানুষের ভিড় জমেছিল শনিবার বিকালে। তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন পুলিশি অনুমতির জন্য। পরে বিকেল সাড়ে চারটেরও কিছু সময় পরে মিছিল শ্যামবাজার পর্যন্ত এগনোর অনুমতি দেন পুলিশকর্মীরা।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শনিবার দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই-সহ দেশের একাধিক বড় শহরে তার প্রভাব পড়েছে। শনিবার বিকালে আইএমএ-র ব্যানারে আরজি কর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা।