—প্রতীকী ছবি।
আবার পথ দুর্ঘটনার বলি বেহালায়। বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। মৃতার নাম অঞ্জলি বিষ্ণু (৫৮)। বাড়ি রায়বাহাদুর রোডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার রোডের বনমালী রোড ক্রসিংয়ের কাছে ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ অঞ্জলিকে ধাক্কা মারে এসপ্ল্যানেড থেকে বকখালিগামী একটি বাস। মহিলা রাস্তা পেরোনোর সময় বাসটি তাঁকে ধাক্কা মারে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এর পর তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করলেও বাসচালক পলাতক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
গত ৪ অগস্ট এই ডায়মন্ড হারবার রোডেই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক স্কুলপড়ুয়ার। যার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোড। বেহালা চৌরাস্তার কাছে লরির চাকা পিষে দিয়ে চলে গিয়েছিল বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারকে। এর পর পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে ডায়মন্ড হারবার রোডেই সৌরনীলের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের ভ্যান এবং মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েও পরিস্থিতির রাশ নিজেদের হাতে রাখতে না পেরে ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। স্বয়ং নগরপাল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
সেই ঘটনার এক মাস যেতে না যেতেই বেহালায় আবার দুর্ঘটনার বলি এক পথচারী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছাত্রমৃত্যুর পরের কয়েক দিন পুলিশি তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর আবার পুলিশি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকার মানুষ।