রামপুরহাটের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট-কাণ্ডে এ বার এক জেলা ইন্টেলিজেন্স অফিসার বা ডিআইও-কে সাসপেন্ড করল রাজ্য। বগটুইয়ের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, এই কারণ দর্শিয়ে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হল ওই অফিসারকে।
পাশাপাশি, কর্তব্যে গাফিলতির কারণে ১১ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বগটুইয়ের ঘটনায় ওসি এবং এসডিপিও-কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইবি-ডিআইবিকেও ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। যদিও বিজেপি-র দাবি, কেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে সরানো হচ্ছে না?
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান বগটুইয়ের ঘটনার কোনও দোষী ছাড় পাবে না। রাজনৈতিক রং না দেখে নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও তদন্তের জন্য সিট গঠন হয়েছে। অকুস্থলে মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। নিজেও বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাবেন। এর মধ্যে বুধবার ডিআইও-কে সাসপেন্ডে করা হল।
বিজেপি-র অবশ্য অভিযোগ, বগটুইয়ের ঘটনার দায় জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে নগেন্দ্রর উপরও বর্তায়। তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? এর নেপথ্যে শাসক দলের সঙ্গে আইপিএস অফিসারের ‘সুসম্পর্কের’ কথা বলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন নগেন্দ্র। মমতা বনাম শুভেন্দুর ভোট-যুদ্ধে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নন্দীগ্রামে। সে দিন নন্দীগ্রামের একটি বুথে মমতাকে এই আইপিএস অফিসার বলেছিলেন, ‘‘ম্যাডাম, খাকি পরে দাগ নেব না।’’ পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব এবং পরিষেবার জন্য রাজ্যের পদক পান নগেন্দ্র। কমিশনের সুপারিশেই তাঁর এই প্রাপ্তি। বর্তমানে বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা ওই আইপিএস অফিসারকেই নিশানা করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।