শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনার তদন্তের ভার যেতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র হাতে। বুধবার এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বগটুই গ্রামের উদ্দেশে যাওয়ার আগে বীরভূমের সিউড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লাকে এনআইএ তদন্ত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লাকে এনআইএ তদন্ত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’ বিজেপি যে রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে লাগাতার আন্দলোন করতে চায় তা বুঝিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের জবাব চাওয়া হবে। সেই সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই ঘটনার মূল সাক্ষীর সঙ্গে আমাদের হোয়াটস্অ্যাপ কলে কথা হয়েছে। আদালত তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে।’’ বিজেপি-র বিধায়ক দল যাতে রামপুরহাটে পৌঁছতে বাধা পায় তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল উদ্যোগ নেয়ে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ডেউচা পাচামি এলাকায় হাজার হাজার লরি রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। যেটা সাধারণত দিনের ব্যস্ত সময়ে করা হয় না।
রামপুরহাটের ঘটনার পর থেকেই বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলতে শুরু করে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন। বিজেপি-র একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার বগটুই যাবে বলে জানানো হয়েছে। আসতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও প্রতিনিধি দলও। সে সবের মধ্যেই শুভেন্দু এনআইএ তদন্তের সম্ভাবনা উস্কে দিলেন।
বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়করা কলকাতা থেকে বাসে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। অন্য দিকে, শুভেন্দু ছিলেন আসানসোলে। লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের মনোনয়ন জমার পরে আসানসোল থেকে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু। পথে সিউড়িতে বিজেপি দফতরে কিছু ক্ষণ দাঁড়ান। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহস্পতিবারের রামপুরহাট সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘উনি আসছেন এই কারণে, যদি এনআইএ অথবা সিবিআই তদন্ত হয়, তা হলে তার তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এক জন মহিলার রাজত্বে ৮ জন মহিলাকে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হল। এখনই পদত্যাগ করা উচিত।’’