Mysterious Death

আবাসন থেকে উদ্ধার হাত-পা ভাঙা, প্লাস্টিকে মুখ বাঁধা যুবকের দেহ

পুলিশ জানায়, গভীর রাতে আবাসনের এক বাসিন্দাই প্রথম প্রণবের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনা জানাজানি হতে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাতে ফ্ল্যাট থেকে আবাসনের বাইরে বেরিয়েছিলেন পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এক ব্যক্তি। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, কিছু ক্ষণ পরে তিনি আবাসনের ভিতরে ঢুকছেন। কিন্তু, তার পরে ফ্ল্যাটে ফেরেননি। শেষে আবাসনের ভিতরেই প্লাস্টিক দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর দেহ! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বরাহনগরের একটি আবাসনে। মৃতের নাম প্রণব বসুরায় (৪৩)। পুলিশ জানায়, বাঁ হাত ও বাঁ পা ভাঙা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে আবাসনের দু’টি টাওয়ারের মাঝে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছাদ থেকে ওই ব্যক্তির জুতো মিলেছে। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গভীর রাতে আবাসনের এক বাসিন্দাই প্রথম প্রণবের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনা জানাজানি হতে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরাহনগর থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির মাথা প্লাস্টিকে মুড়ে, গলা সেলোটেপ দিয়ে বন্ধ করা অবস্থায় দেহটি পড়েছিল বলে দাবি পুলিশের।

বরাহনগরের ওই আবাসনে ৮০০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চার নম্বর ব্লকের পাশে ই-ব্লকের দু’নম্বর গেটের সামনে প্রণবের দেহ পড়েছিল। তবে, দেহ থেকে রক্ত বেরোয়নি। চার নম্বর ব্লকের ছাদ থেকে মিলেছে প্রণবের জুতো। আবাসনের সিংহভাগ সিসি ক্যামেরা খারাপ থাকায় ফুটেজ তেমন হাতে পায়নি পুলিশ। শুধুমাত্র আবাসনের মূল গেটের সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, রাত আটটা নাগাদ ওই ব্যক্তি হলুদ গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরে বেরিয়েছিলেন। রাত ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি জলের বোতল নিয়ে আবাসনে ঢুকেছেন। ফলে, আবাসনেই কিছু ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের।

Advertisement

প্রণবের পরিবারে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট ছেলে। পরিজনেরা পুলিশকে জানান, প্রণব মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। এ দিকে সিসি ক্যামেরায় রাত ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ তাঁকে আবাসনে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। ফলে গভীর রাতে দেহ উদ্ধারের আগে পর্যন্ত তিনি আবাসনে থাকলে কোথায় ছিলেন, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।

ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’’

অন্য দিকে, এ দিনই ওই আবাসনে সাফাইকাজ করতে এসে অসুস্থ হয়ে মনোজকুমার দাস (৫৬) নামে এক সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement