মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। সেই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে বড়সড় রদবদল ঘটে গেল। এই রদবদলে বিল্ডিং বিভাগের মোট চার জনকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। বদলে অন্য বিভাগ থেকে বিল্ডিং বিভাগে আনা হয়েছে নতুন চার জনকে।
রবিবার গভীর রাতে গার্ডেনরিচের ব্যানার্জিপাড়া এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার পর শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার রাতেই সেখানে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার সকালে পরিস্থিতি দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে পুরসভা এসে বিল্ডিং বিভাগের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ। সেই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৫ নম্বর বোরো এবং ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ় করে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়।
আর মঙ্গলবার বিল্ডিং বিভাগের এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও তিন জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) দেবব্রত ঘোষকে বিল্ডিং বিভাগ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-১ বিভাগে। তাঁর সঙ্গেই সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) শুভম ভট্টাচার্যকেও ওই একই বিভাগের পাঠানো হয়েছে। দু’জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) সবুজ বিশ্বাস ও তন্ময় কুইল্যাকে যথাক্রমে জলবণ্টন বিভাগ এবং টালিনালা ও নগর বিকাশ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বদলে বিল্ডিং বিভাগের নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদে আনা হয়েছে বরুণ সরকারকে। তাঁকে টালিনালা ও নগর বিকাশ বিভাগ থেকে এই দায়িত্বে আনা হয়েছে। অন্য তিন জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে আনা হয়েছে কুশল মণ্ডল, সত্যপ্রিয় সরকার ও মনোজকুমার ঘোষকে। তাঁদের জলবণ্টন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টালিনালা ও নগর বিকাশ বিভাগ থেকে বিল্ডিং বিভাগে আনা হয়েছে।