সপ্তাহান্তে চাহিদা অনুযায়ী মেট্রো পরিষেবার সময় পুনর্বিন্যাস করতে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের মতামত নেওয়া চলছে। কিন্তু তার মধ্যেই পরপর দু’টি রবিবারে সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চালিয়ে ভাল সাড়া মেলায় পরিষেবার সময় এগিয়ে আনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রের খবর, গত ২৬ মে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং ২ জুন সিভিল সার্ভিসের (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা থাকায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ৪ জোড়া ট্রেন চালান। ওই দু’দিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের বদলে সকাল ৮টায় দমদম ও কবি সুভাষ স্টেশন থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়। অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে ওই দু’দিন মেট্রো চললেও যাত্রী সংখ্যা কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করেছে বলে খবর। গত ২৬ মে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১০টার মধ্যে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৭৪১। ওই দু’ঘণ্টায় ৮টি অতিরিক্ত ট্রেন চালিয়ে আয় হয়েছে প্রায় এক লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। পরের সপ্তাহে, গত ২ জুন একই সংখ্যায় ট্রেন চালিয়ে যাত্রী ছিল ১৬ হাজার ৫১৫। আয় প্রায় এক লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। দুই সপ্তাহে ট্রেনপিছু যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় দু’হাজার।
মেট্রোকর্তাদের মতে, নিয়মিত মেট্রো চললে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তা হলে এত দিন এই সম্ভাবনার কথা ভাবা হয়নি কেন? মেট্রোকর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, রবিবার অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। দোকানও বহু এলাকায় কম খোলা থাকে। তাই এত দিন রবিবার মেট্রো কম চলত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। রবিবার সকালে কলকাতার যাত্রীদের একাংশের ট্রেন বা বাসে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার অনেক যাত্রীই সকালে এসপ্লানেড বা হাওড়া পৌঁছতে মেট্রোর উপরে নির্ভর করেন। একই ভাবে ছুটির দিনে প্রায়ই কলকাতায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা থাকে। সে জন্য বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের বড় অংশ মেট্রোর উপরেই নির্ভর করেন। বেলা বাড়লে শহরের বিনোদনমূলক গন্তব্য ছাড়াও শপিং মলে ভিড় বাড়ে। সে দিকে তাকিয়েই মেট্রো পরিষেবার সময় পুনর্বিন্যাসের ভাবনা।
এ প্রসঙ্গে এক মেট্রোকর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের মতামত খতিয়ে দেখছি। রবিবার সকালে ৮টা থেকে মেট্রো চালানোর প্রশ্নে যাত্রীদের সাড়া আশাব্যঞ্জক।’’ তিনি আরও জানান, মাসখানেকের মধ্যে পরিষেবার সময় পুনর্বিন্যাস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রবিবার সকালে মেট্রোর সময় এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক হতে পারে।