—ফাইল চিত্র।
রাজস্ব বাড়াতে রবীন্দ্র সরোবরে ফের বোটিং চালুর পরিকল্পনা করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
কেএমডিএ-র এক কর্তার কথায়, বোটিংয়ের জন্য জলাশয়ের একাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। ছট পুজোর পরেই এই প্রকল্প চালু করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বহিরাগত কোনও সংস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্প চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। বোটিং করার জন্য যে বহিরাগত সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে তার কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক টাকা ধার্য করা হবে। তাতে দফতরেরও কিছু আয় হবে।
কর্তৃপক্ষ জানান, সরোবর রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য অর্থ উপার্জনের বাড়তি কোনও সংস্থান নেই। সরোবর চত্বরে যে ক্লাবগুলি রয়েছে সেখান থেকে ভাড়া বাবদ যে পরিমাণ টাকা উপার্জন হয়, তা রক্ষণাবেক্ষণের পক্ষে যথেষ্ট নয়। ফলে, এই ধরনের প্রকল্প চালু হলে অর্থনৈতিক ভাবে কেএমডিএ-র উপকার হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবরে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের মধ্যেই জলাশয়ে বোটিং করার ব্যবস্থা ছিল। অনেক দিন আগেই দরপত্রের মাধ্যমে একটি বহিরাগত সংস্থাকে বোটিং প্রকল্প চালু করার জন্য বরাতও দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিনের জন্য তা শুরুও হয়েছিল। কিন্তু বোটিং কয়েক বছর চালু থাকার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তার মূল কারণ সরোবরে জলক্রীড়া চালু থাকায় এই বোটিং ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। সরোবরে জলক্রীড়া হিসেবে মূলত রোয়িং চালু রয়েছে। সরোবরে রোয়িং করার জন্য স্বতন্ত্র লাইন তৈরি করতে হয়। বোটিং চললে সেই লাইনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, সরোবরের সমস্ত এলাকা জুড়ে অবশ্য জলক্রীড়া হয় না। টালিগঞ্জের দিকে রবীন্দ্র সরোবরের যে অংশ রয়েছে, সেখানে এই ধরনের সমস্যা নেই। সেখানেই বোটিং হতে পারে। তবে তা চালু হওয়ার আগে বোটিং প্রকল্প কতটা লাভজনক হবে, সেই সমীক্ষা ভাল করে করার প্রয়োজন রয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ছাড়াও যাঁরা এই প্রকল্পের বরাত নেবেন তাঁদেরও এই সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হবে।