বিল্ডিং বিভাগকে সক্রিয় করতে উদ্যোগী ফিরহাদ। —ফাইল ছবি।
একের পর বেআইনি বহুতল নির্মাণের অভিযোগে জেরবার কলকাতা পুরসভা। সেই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হেলে পড়া বাড়ির ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে বিল্ডিং বিভাগে নিয়োগ হওয়া নতুন কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বিল্ডিং বিষয়ক এক প্রশ্নে জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে সব ঘটনার পরেই বিল্ডিং বিভাগ একের পর এক বৈঠক করে চলেছে কলকাতা পুরসভায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমানসে। সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই সম্ভবত বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফিরহাদ, এমনটাই মত পুর প্রশাসনের একাংশের।
মেয়র বলেন, ‘‘আমার বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টে আমি সব পদ পূরণ করে দিয়েছি। শীঘ্রই ওদের নিয়ে আমি একটা মিটিংও করব।’’ প্রসঙ্গত, শহরের নানা প্রান্তে বিল্ডিং বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার পাশাপাশি, বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা ঘটছে। তাতে বিল্ডিং বিভাগে আরও সক্রিয় করতে চান মেয়র। তাই তিনি বিল্ডিং বিভাগের নতুন করে দায়িত্বে আসা কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। কারণ, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের পরেই হবে কলকাতা পুরসভার ভোট। এমতাবস্থায় যদি বিল্ডিং বিভাগ নিয়ে ধারাবাহিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তা হলে রাজ্য সরকার তো বটেই কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদেরও ভোট চাইতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। তাই বিধানসভা এবং পুরসভা ভোটের আগে বিল্ডিং বিভাগকে সক্রিয় করতে উদ্যোগ হয়েছেন ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, গত বছর মেয়রের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকায় বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মুখ বাঁচাতে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে পুরসভা। যদিও, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তাদের সাসপেনশন তুলে কাজে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকেই কখনও বাঘাযতীন, কখনও ট্যাংরা আবার কখনও এক্সাইড মোড়ের বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুরসভা। কারণ এই সবকটি ঘটনাই ঘটেছে, মেয়র পারিষদদের ওয়ার্ডে। এ ছাড়াও শনিবার নতুন করে ৫৫ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাই এমন ধারাবাহিক ঘটনাক্রম থেকে মুক্তি পেতে মেয়র বিল্ডিং বিভাগে নতুন করে কাজ করতে আসা কর্মী-আধিকারিকদের নিয়ে শীঘ্রই বৈঠক করতে পারেন মেয়র।