পুরভোটে কারচুরি অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার পুরভোটকে ‘স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রহসনের নির্বাচন’ বললেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে কলকাতার প্রকৃত ভোটদাতাদের ২০ শতাংশ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, রবিবার নির্বিচারে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট হয়েছে শহর জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দাবি, ‘‘আমরা রাজ্যপালের কাছে পুরো ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।’’ রাজভবন থেকে বেরিয়ে পুরভোটে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সিপিএমের আমলে লড়াই করেছি। ১৯৯০ সালের নির্বাচনকে রিগিং নির্বাচন বলতাম। কিন্তু এ বারের ভোট সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে।’’
কলকাতা পুরসভার নির্বাচন চলাকালীন শুভেন্দুর সল্টলেকের বাড়ির বাইরে হঠাৎই সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন হওয়ার ঘটনার জেরে বিতর্ক হয়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের আক্ষেপ, ‘‘কলকাতার ভোটে আমাদের বহিরাগত বলা হচ্ছে।’’
বিজেপি বিধায়কদের এমএলএ হস্টেলে আটক প্রসঙ্গ নিয়েও তিনি রাজভবনে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রবিবার ওই এমএলএ হস্টেল থেকেই বিনা বাধায় বেরিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুইয়াঁ।
ধনখড়কেও নিরাপত্তা রক্ষী বাইরে রেখে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ঢুকতে বাধ্য করানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালকেও এরা (রাজ্য সরকার) অপমান করতে ছাড়েনি।’’ বাংলায় ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে তাঁর দাবি, এই রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।
শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, ‘বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিরা পুরভোটে হিংসা এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন। শাসক দলের হয়ে কলকাতা পুলিশের কাজ, বিরোধী বিধায়কদের এমএলএ হস্টেলে তালা মেরে রাখার ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন।’ রাজভবনের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে কলকাতার পুরভোট নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান শুভেন্দু।