পুলিশের সঙ্গে বচসা শুভেন্দু অধিকারীর। ছবি: টুইটার।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচন চলাকালীন কেন তাঁর সল্টলেকের বাড়ির বাইরে হঠাৎই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী? পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রকাশ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রবিবার তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরোতেই শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায় তাঁকে। শুভেন্দুর দাবি, তাঁকে আটকানোর এক্তিয়ার নেই বিধাননগর পুলিশের। যদিও পুরভোট চলাকালীন শুভেন্দুর বাড়িতে কী উদ্দেশ্যে বৈঠক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
রবিবার পুরভোট চলাকালীন শুভেন্দুর বাড়িতে ১৬ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। সে সময় হঠাৎই তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিকেল ৫টা নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (হেড কোয়ার্টার্স)-এর নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলেন। তবে কেন হঠাৎ শুভেন্দুর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হল, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই বৈঠকের পর শুভেন্দু বাড়ির বাইরে বেরোতেই পুলিশ তাঁকেও আটকে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যান। কিন্তু তা তো ওরা করতে পারবে না। কারণ গ্রেফতার করলে তো আমাদের আদালতে তুলতে হবে! আদালতে পাঠালে তো নাকখত দিতে হবে! আমাদের আটকানোর ক্ষমতা রয়েছে কলকাতা পুলিশের? ওদের তো কোনও ক্ষমতাই নেই।’’ বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও।
রবিবার শুভেন্দুর বাড়ির বাইরে পুলিশে ঘিরে ফেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও টুইটারে তিনি শুভেন্দুর বাড়িতে ২০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন। টুইটারে ধনখড় লিখেছেন, ‘বিরোধী দলনেতা আমাকে জানিয়েছেন যে, ‘বিধাননগর পুলিশ আমার (শুভেন্দুর) বাড়ি পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে। রাজ্যস্তরের কয়েক জন নেতা-সহ এখানে ২০ জন দলীয় বিধায়ক রয়েছেন’।’
শুভেন্দুর বাড়িতে ওই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় পুরভোটের সময় কলকাতার সন্নিকটে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে কী উদ্দেশ্যে ওই বৈঠক হচ্ছিল?’’
প্রসঙ্গত, রবিবার পুলিশের সঙ্গে ওই ঝামেলার পর সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির বাইরে বার হন শুভেন্দু। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাজভবনেও যান তিনি।