—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশের পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে কমিটি গড়ার আশ্বাসের পরে বুধবার গভীর রাতে ঘেরাও উঠেছিল। শুক্রবার ক্যাম্পাসের একটি ঘরে সেই কমিটির প্রথম বৈঠকে সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন-সহ কিছু কর্তাকে ফের বেশি রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখল ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ ফেটসু।
অতিমারির মধ্যে বেলা ২টো থেকে একটি ঘরে এমন ঘেরাওয়ে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, এমন চললে পরের বৈঠকে তাঁরা আদৌ যোগ দেবেন কি না, সেটা তাঁদের ভেবে দেখতে হবে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিন বাড়ি থেকেই ওই বৈঠকে যোগ দেন।
যে-অনলাইন প্রক্রিয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশের কাজ চলে, সেই ‘জুমস’ নিয়ে পড়ুয়াদের ভোগান্তির কথা বৈঠকে মেনে নেওয়া হয়। সমস্যা মেটাতে ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের চেয়ারপার্সন তীর্ণা ভট্টাচার্য জানান, এই বিষয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করবেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী বৈঠকে মতামত জানাবেন। পরীক্ষার ফলে অসঙ্গতি, ফলপ্রকাশে দেরি, ভর্তিতে অস্বচ্ছতা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে বুধবার প্রায় রাত ২টো পর্যন্ত দুই সহ-উপাচার্য এবং বিভাগীয় ডিনকে ঘেরাও করে রেখেছিল ফেটসু। তাদের দাবি, জুমস এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সংস্থার হাতে রয়েছে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে জুমসের দায়িত্ব ফিরিয়ে নিতে হবে এবং জুমসে দুই প্রাক্তন ছাত্রকে বহাল রাখতে হবে।